Krishak Bondhu: আপনি কি কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় থাকা একজন কৃষক? আপনি কি এখনও কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অনুদান পাননি? তবে এই খবরটি আপনার জন্য (Krishak Bondhu)। কৃষক বন্ধু প্রকল্প হলো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি জনকল্যাণমূলক প্রকল্প, যার মাধ্যমে কৃষক এবং ভাগচাষীদের প্রায় ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমা প্রদান করা হয়ে থাকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে।
Details Of Krishak Bandhu Scheme
Name | Krishak Bandhu Scheme |
Launched By | Mamta Banerjee |
Beneficiaries | Farmers in West Bengal |
Announced on | 1 January 2019 |
Official Website | http://krishakbandhu.net/ |
কৃষক এবং ভাগচাষীরা যাতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় সার, বীজ, কীটনাশক ইত্যাদি দ্রব্যগুলো সময়মতো কিনতে পারে এবং টাকার জন্য যাতে কৃষকদের ঋণে জর্জরিত না হতে হয়, তা দেখাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। এই প্রকল্পে কৃষকরা প্রতিবছর প্রায় ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত পেয়ে থাকেন। জমির পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে কৃষকদের ২০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে এই প্রকল্পে।
তবে বর্তমানে কৃষকদের কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। অনেক কৃষকই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা পেলেও অনেকের ক্ষেত্রেই অ্যাকাউন্টের সমস্ত কিছু ঠিক থাকা সত্ত্বেও কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা পাননি। আজ আমরা আলোচনা করবো, যারা টাকা পাননি তারা কবে টাকা পাবেন, এব্যাপারে কৃষি দপ্তর কি জানিয়েছে এই সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি।
রাজ্য সরকারের কৃষক বন্ধু প্রকল্পে কৃষকদের সাধারণত দু’টি কিস্তিতে টাকা দেওয়া হয়ে থাকে, রবি সিজন এবং খারিফ সিজন। খারিফ সিজনের টাকা সাধারণত এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়ে থাকে এবং রবি সিজনের টাকা সাধারণত অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে দেওয়া হয়ে থাকে।
Read More : Rove Beetle (Acid Fly ) অ্যাসিড পোকা | Nairobi Fly: অ্যাসিড পোকা কী?
এবছরও এপ্রিল মাস থেকে খারিফ সিজনের টাকা দেওয়া শুরু করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে এবং কৃষি দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে যে, সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত টাকা দেওয়া হবে অর্থাৎ ৩০ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া চলবে।
কৃষি দপ্তরের তরফে ব্যাংকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে যত দ্রুত সম্ভব টাকা পাঠানো যায়। কৃষকরা যাতে ধানচাষের ক্ষেত্রে এই টাকা ব্যবহার করতে পারেন সেদিকে খেয়াল রাখতে ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কৃষি দপ্তরের তরফে। তবে যে সকল কৃষকদের Transaction Status এ Account Valid লেখা রয়েছে তারাই একমাত্র এই কিস্তির টাকা পাবেন।