Foods for Strong Teeth: দাঁতের খেয়াল রাখাটা আমাদের প্রতিটি মানুষের কর্তব্য। এক্ষেত্রে ভুল খাদ্যাভ্যাসের (Diet) কারণে অনেক সময় দাঁতের সমস্যা হয়। তবে আপনি যদি দাঁতের স্বার্থে ডিম, দুগ্ধজাত পদার্থ খেতে পারেন, তবে অনেক সমস্যারই হয়ে যেতে পারে সমাধান।
বেশিরভাগ মানুষ নিজের দাঁতের খেয়াল বেশি রাখেন না। এবার এই অঙ্গের খেয়াল না রাখলে তার থেকে সমস্যা তৈরি হয়ে যেতে পারে। কারণ একটা সময়ের পর দাঁত নিজের শক্তি হারায়। তখন একের পর এক দাঁতে সমস্যা তৈরি হয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন,
মুখের স্বাস্থ্যের বিষয়টি সম্পর্কে এখনও বেশিরভাগ মানুষ জানেন না। এবার তাঁরা জানেন না বলেই তো যত রাজ্যের সমস্যা তৈরি হয়ে যায়। এক্ষেত্রে দাঁত ভালো রাখতে যে ব্রাশ করা উচিত, সেটাও বহুজন মানতে চান না। তবে এক্ষেত্রে একবার ব্রাশ করে তেমন লাভ নেই। বরং দিনে করতে হবে দুই থেকে তিনবার ব্রাশ। তবেই ভালো থাকতে পারবেন।
আবার শুধু ব্রাশ করে দাঁত (Teeth) ভালো থাকবে না। দাঁত সুস্থ (Health Teeth) রাখতে চাইলে ডায়েটের তালিকায় কিছু খাবারকে অবশ্যই স্থান করে দিতে হবে। তবেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এবার আসুন জানা যাক দাঁত শক্ত করার কিছু খাবার সম্পর্কে (Foods for Strong Teeth)-
- দুগ্ধজাত খাবার খান: দুধ খেতে পারলে সবথেকে ভালো হয়। তবে বহু মানুষের দুধ সহ্য হয় না। তাঁরা ছানা,দই, পনির খেতে পারেন। এই সকল খাবারে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে ক্যালশিয়াম যা দাঁত শক্ত করতে পারে। এমনকী জীবাণুর সঙ্গে দাঁত লড়াই করার শক্তি পায়।
- ফল ও সবজি : আসলে ফল ও সবজিতে রয়েছে বহু অ্যালকালয়েডস। এই অ্যালকালয়েডস কিন্তু দাঁতের পক্ষে ভালো। এছাড়াও দেখা গিয়েছে যে এই সকল খাবারে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর ভালো করে দিতে পারে। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতে, পালংশাক, পেয়ারা, গাজর, বিনস হতে পারে দারুণ খাদ্য।
- ডিম : সস্তার ডিম কিন্তু এই সময় আপনি খেতেই পারেন। আসলে এই খাবারে রয়েছে অনেকটা প্রোটিন ও ক্যালশিয়াম। এবার এই প্রোটিন ও ক্যালশিয়াম কিন্তু দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে। তাই এই খাবারটি পাতে রাখুন।
এছাড়া মনে রাখতে হবে যে দাঁতের কোনও সমস্যা ফেলে রাখা কিন্তু চলবে না। সেক্ষেত্রে জটিলতা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন। তবেই ভালো থাকতে পারবেন। অন্যথায় সমস্যা বাড়তে পারে। তাই সতর্ক হয়ে যান।
বিদ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।