Jadavpur University: চাঁদের মাটি ছুঁতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছিল ভারতের দূত ‘বিক্রম’। তিন বছর আগের সেই ধাক্কা কাটিয়ে ফের চাঁদে পাড়ি দেওয়ার কাজে লেগেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। সেই প্রকল্পে এ বার বড় ভূমিকা পালন করছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
কী ভাবে ভারতের দূত চাঁদের মাটিতে ‘পা ফেলবে’
তার দায়িত্বে রয়েছে আইআইটি-সহ দেশের কয়েকটি প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেই তালিকায় রয়েছে যাদবপুরও। রাজ্যের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরফে অবতরণের প্রকল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক অমিতাভ গুপ্ত এবং ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (Electronics and Telecommunication Engineering) বিভাগের শিক্ষক সায়ন চট্টোপাধ্যায়।
অমিতাভ জানান,
শিক্ষকদের পাশাপাশি এই কাজে পিএইচডি গবেষক, স্নাতকোত্তর, স্নাতক স্তরের পড়ুয়াদেরও যুক্ত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুধু চন্দ্রযানের অবতরণ প্রকল্প নয়, যাদবপুরে (Jadavpur University) ISRO আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজ চলছে বলেও খবর।
ভিন গ্রহে কিংবা উপগ্রহে অবতরণই হল মহাকাশ অভিযানের সব থেকে কঠিন ধাপ। সফল উৎক্ষেপণের পরেও নামতে গিয়েই বিপত্তি ঘটেছিল চন্দ্রযান-২ অভিযানে। এ বার যাতে পালকের মতো মসৃণ ভাবে চাঁদের মাটি ছোঁয়া যায় তার উপরেই বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।
অমিতাভ জানান,
এ বার চাঁদে পাড়ি দেওয়া যানটিতে একাধিক ‘থ্রাস্টার’ থাকবে। তার সাহায্যেই পালকের মতো চাঁদের মাটিতে নামবে যান। বিজ্ঞানীদের ভাষায়, ফেদার টাচ। অমিতাভর ব্যাখ্যা, থ্রাস্টারগুলির মাধ্যমে জ্বালানি নিঃসরণ বাড়িয়ে-কমিয়ে নিরাপদ অবতরণ করা যাবে।
কী ভাবে অবতরণ হবে তারও ব্যাখ্যা মিলছে। অমিতাভ জানান,
এই প্রযুক্তির নাম ‘হোভারিং’ টেকনোলজি। অর্থাৎ, নীচে নামার আগে মহাকাশযানটি চিলের মতো একটি জায়গায় স্থির হয়ে অবতরণস্থলটিকে দেখতে পারবে। তার পর পরিস্থিতি বুঝে ‘থ্রাস্টার’-এর মাধ্যমে নিজেকে সোজা রেখে নীচে নেমে আসবে। তাঁরা এই অবতরণের একটি পরিস্থিতি (রিয়েল টাইম সিমুলেশন) তৈরি করছেন। এই প্রযুক্তি নাসা আগেই তৈরি করেছিল। এই পরিস্থিতির জন্য ‘লেগো’ দিয়ে মহাকাশযানের মডেল তৈরি হয়েছে। সেই সিমুলেশন-এর মাধ্যমে নিরাপদ অবতরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
Read More :ED full form | ED পূর্ণরূপ | ED এর পূর্ণরূপ কি? ED এর সম্পূর্ণ তথ্য
এই প্রযুক্তির ‘ইমেজিং’-এর দায়িত্বে আছেন সায়ন।
মহাকাশযানটির অবস্থান অবতরণস্থল থেকে সরে গেলেও যাতে বোঝা সম্ভব হয়, তার জন্য অবতরণস্থলের আশপাশের অঞ্চলের বহু ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে। যদি ওই মহাকাশযান সরে যায় অথবা তির্যক কোণে থাকে তা হলে ছবি দেখেই তার অবস্থান বোঝা যাবে। অমিতাভ জানান, ১২ নভেম্বর ‘রিভিউ’ বৈঠক আছে। আশা করছেন, চলতি বছরের শেষেই গবেষণা প্রকল্প ইসরোকে জমা দিতে পারবেন।