Primary TET certificate 2017 : প্রাথমিক টেট পরীক্ষা ২০১৪ এবং ২০২২ সালের পাস করা পরীক্ষার্থীদের ইতিমধ্যেই সার্টিফিকেট প্রদান করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এবার ২০১৭ সালের পরীক্ষার্থীদের পালা এবার ২০১৭ সালের পরীক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দেয়া শুরু করতে চলছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ৩১ শে মে থেকে পরীক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট ডাউনলোড (Primary TET certificate Download) করার সুযোগ দিচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
এর আগে যখন 2014 এবং ২০২২ সালের পরীক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছিল তখন পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ তোলে যে সার্টিফিকেটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে গরমিল ছিল। যদিও সেই অভিযোগ আদও সত্যি কিনা তা এখনো প্রমাণ সাপেক্ষ।
২০১৭ সালের পরীক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট প্রকাশ নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ একটি নতুন নোটিশ জারি করেছে যে নোটিসে বলা হয়েছে, এতদ্বারা সকলকে জানানো হইতেছে যে, ২০১৭ সালে পাশ করা টেট পরীক্ষার্থীদের ৩১শে মে রাত আটটা থেকে অনলাইনে টেট পরীক্ষা সার্টিফিকেট (Primary TET certificate) প্রদান করা হবে।
Read More : কেন HS মার্ক শিটে QR কোড থাকছে? পশ্চিমবঙ্গে (WBCHSE)
2017 Primary TET certificate Download.
২০১৭ সালে উত্তীর্ণ হওয়া সমস্ত পরীক্ষার্থীকে বলা হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে যেন তারা এই সার্টিফিকেটটি অতি অবশ্যই ডাউনলোড করে নেয়। পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট টি হলো https://wbbpe.org/. সকল পরীক্ষার্থীদের বলা হচ্ছে যেন তারা অবশ্যই তাদের সার্টিফিকেট যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাউনলোড (Primary TET certificate) করে নেয়।
ফিকেটে গরমিল থাকতে পারে। তবে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি রুখতে পর্ষদ বর্তমানে খুবই তৎপর। এবারে ইন্টারভিউ তে প্রার্থীরা যে নাম্বার পাবে সেই নাম্বার সরাসরি আপলোড করে দেয়া হবে পর্ষদের সার্ভারে, তার সঙ্গে সঙ্গে থাকছে পুরো ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাপি। তার সঙ্গে ইন্টারভিউ এর সময় থাকতে চোখ ডাস্টার যেখানে চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউতে সামনে ক্লাস নিয়েও দেখাতে হবে।
২০১৪ সালে যে টেট পরীক্ষা (Primary TET 2014) নেওয়া হয় সেই টেট পরীক্ষার রেজাল্টের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়, ৪২ হাজার ৫০০ জনকে। কিন্তু জানা যায় সেই নিয়োগের মধ্যে ছিল বিরাট গরমিল। তাই কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল ব্যাংক অর্থাৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন নতুন কাট অফ মার্কস এর লিস্ট করার জন্য। সেই লিস্ট পর্ষদ কিছুদিন আগে প্রকাশ করে।
সেখানে দেখা যায়,লিস্টে থাকা বহু চাকরিপ্রাপকেরই উচ্চমাধ্যমিকের স্কোর শূন্য মাধ্যমিকেও অনেকের স্কোর শূন্য অথবা তারা ১০% এর কম নাম্বার পেয়েছে। কিন্তু এই নাম্বার নিয়ে তারা কিভাবে প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ হল সে বিষয়ে থেকে যাচ্ছে এক বিরাট প্রশ্ন।