সরকারি, সরকার পোষিত এবং সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত বিষয়ের পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে দেয় পর্ষদ। নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি এবং অঙ্ক বই দেয় বিনামূল্যে। বাংলা ব্যাকরণ, জীবনবিজ্ঞান, ভৌতবিজ্ঞান, ইতিহাস ও ভূগোল বই পড়ুয়াদের বাজার থেকে কিনতে হয়। এই বইগুলো বেসরকারি সংস্থা প্রকাশ করে।
পর্ষদ জানিয়েছে (Madhyamik),
২০১৭ সালের পরে এই বইগুলোর রিভিউ হয়নি। ফলে, বইয়ের কিছু কিছু অংশ নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। গত বছর একটি স্কুলের টেস্টের প্রশ্নে ‘আজাদ কাশ্মীর’ শব্দ বন্ধনী ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল পাঠ্যবইতে ‘আজাদ কাশ্মীর’ লেখা আছে।
এবার সেই সব বিতর্কিত অংশগুলো বাদ দিয়ে নতুন করে পাঠ্যবই তৈরি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রকাশকদের কাছ ওই পাঁচটি বিষয়ের বিভিন্ন প্রকাশনীর ১৫০টি পুরনো বই নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রয়োজনীয় পরিমর্জনার নির্দেশ দিয়ে নতুন টেক্সট বুক বা টিবি নম্বর দিয়েছে। এই মাসের শেষে বাকি ১০০টি বইয়েরও পরিমর্জনার কাজ শেষ হয়ে যাবে। সেই বইগুলোর টেক্সট বুক বা টিবি নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পর্ষদ।
Read More : পশ্চিমবঙ্গের সকল শিক্ষকদের স্পেশাল ট্রেনিং নেওয়ার নির্দেশিকা এলো।
পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন,
‘‘কোথায় পরিমার্জনের দরকার, তা বিশেষজ্ঞরা বলে দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী পরিবর্তন করার মুচলেকা দিচ্ছেন প্রকাশকেরা।’’ রামানুজ জানান, এ বার অন্তত ১০০টি বেশি নতুন বই প্রকাশ করার প্রস্তাব এসেছে। বোঝাই যাচ্ছে পর্ষদের অধীনে পড়ুয়ার সংখ্যা মোটেই কমছে না।
নতুন পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিতর্কিত প্রশ্নের সম্ভাবনা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও, নতুন পাঠ্যবই পড়ুয়াদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
[…] […]