কৃষি বিপণন বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি বিপণন বিভাগ এবং নেতাজি সুভাষ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট অফ অ্যাগ্রিকালচারাল মার্কেটিং-এর যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে কলকাতার স্টেট ওউনড অয়েল গ্রেডিং ল্যাবরেটরিতে। শিবিরের মূল প্রতিপাদ্য ছিল – ‘অ্যাগ্রি-ভ্যালু বুস্ট: পোস্ট-হারভেস্ট ম্যানেজমেন্ট, প্রাইমারি প্রসেসিং, প্যাকেজিং ও AGMARK কোয়ালিটি সার্টিফিকেশন’।
শিবিরের মূল উদ্দেশ্য:
এই প্রশিক্ষণ শিবিরের লক্ষ্য ছিল কৃষকদের আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ফসলের পরবর্তী প্রক্রিয়াকরণ (post-harvest processing), মান নির্ধারণ, প্যাকেজিং ও বাজারজাতকরণের দক্ষতা বাড়ানো। এর মাধ্যমে কৃষিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করে কৃষকদের আয় বাড়ানো সম্ভব হবে।
অংশগ্রহণ ও কার্যক্রম:
এই প্রশিক্ষণে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার দুটি FPC (Farmer Producer Company) -এর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণে তারা শিখেছেন কীভাবে উৎপাদিত সরিষার তেল, আটা, সুক্ষ্ম কার্নিভোরা চাল ইত্যাদি কৃষিপণ্যকে যথাযথ প্রক্রিয়াজাত করে AGMARK মানদণ্ড অনুযায়ী গ্রেডিং ও সার্টিফিকেশন এর জন্য আবেদন করা যায়।
বাস্তবায়িত দৃষ্টান্ত:
প্রশিক্ষণ শেষে উক্ত দুটি FPC ইতিমধ্যেই তাদের উৎপাদিত পণ্য – যেমন সরিষার তেল, আটা এবং বিশেষ চাল – এই তিনটি পণ্যের জন্য AGMARK সার্টিফিকেশনের জন্য আবেদন করেছে। এটি রাজ্য সরকারের কৃষকদের জন্য মানসম্পন্ন বাজার ব্যবস্থা ও মূল্য সংযোজনের লক্ষ্যে একটি বাস্তবমুখী পদক্ষেপ।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা:
এই ধরনের প্রশিক্ষণ শিবির শুধুমাত্র দক্ষতা বৃদ্ধিই নয়, বরং কৃষকদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। ভবিষ্যতে আরও জেলার কৃষকদের এই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং সারাদেশে AGMARK সার্টিফায়েড কৃষিপণ্যের প্রসার ঘটবে বলে আশা করা যায়।
উপসংহার:
সরকারি সহযোগিতা, আধুনিক প্রশিক্ষণ ও মাননির্ধারিত প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারবে। এর ফলে একদিকে যেমন কৃষকদের আয় বাড়বে, অন্যদিকে রাজ্যের কৃষিপণ্য দেশব্যাপী ও আন্তর্জাতিক বাজারে স্বীকৃতি পাবে।
📌 এই প্রয়াস কৃষকদের শুধু কৃষক নয়, “উদ্যোক্তা কৃষক” হিসাবে গড়ে তুলতে এক বড় পদক্ষেপ।