BEd College affiliation canceled: শিক্ষকতার পাঠ দেওয়া রাজ্যের ২৫৩টি বেসরকারি বিএড কলেজের সরকারি অনুমোদন আপাতত ‘বাতিল’ হল। এই কলেজগুলির অনুমোদন পুনর্নবীকরণ করা হবে না বলে জানিয়ে দিল রাজ্যের বিএড বিশ্ববিদ্যালয়।
এই ধরনের কলেজ চালানোর জন্য কেন্দ্র নির্দেশিত যে নির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি রয়েছে, তা ওই কলেজগুলিতে পালন করা হয়নি বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বিআর অম্বেডকর বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আগাম সতর্ক করা হলেও তা মানেনি বেসরকারি কলেজগুলির একাংশ। সে জন্যই আইন না মানা কলেজগুলির অনুমোদন বাতিল হয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে অনিশ্চয়তার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে শিক্ষক হতে চাওয়া হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর ভবিষ্যৎ।
Read More: Police Recruitment: রাজ্যে নতুন ২০টি মহিলা থানার প্রস্তাব, পুলিশে আরও নিয়োগ?
শিক্ষক হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যে ডিগ্রি,
তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই সমস্ত কলেজে। রাজ্যে এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার সরকারি কলেজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাত্র ২৪টি। তার তুলনায় বেসরকারি কলেজের সংখ্যা অনেক বেশি। প্রায় ৬০০টি বেসরকারি কলেজে শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ নেন লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রী। শুক্রবারের সিদ্ধান্তে এঁদের মধ্যে অনেকেরই ভবিষ্যৎ আপাতত অনিশ্চিত।
রাজ্যের এই ধরনের কলেজগুলির অনুমোদন দেয় বিএড বিশ্ববিদ্যালয়। তবে যে নিয়মের ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়া হয়, তা নির্ধারণ করে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ টিচার এডুকেশন বা এনসিটিই। সেই নিয়ম বলছে এই কলেজগুলিতে ছাত্র এবং শিক্ষকের সংখ্যার একটি নির্দিষ্ট অনুপাত বজায় রাখতে হবে। বিএড বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর শুরুতে সেই নিয়মের কথা স্মরণ করিয়েও দিয়েছিল কলেজগুলিকে।
প্রতি বছরই সরকারি অনুমোদন পুনর্নবীকরণের জন্য আবেদন করতে হয় এই বেসরকারি কলেজগুলিকে। এ বছর সেই আবেদনের আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়, নিয়ম না মানলে সরকারি অনুমোদনের পুনর্নবীকরণ হবে না। ৪ অক্টোবর ছিল অনুমোদনর জন্য আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন। জমা পড়া আবেদন যাচাই করে দেখা যায়, বেসরকারি কলেজগুলির মধ্যে প্রায় সাড়ে তিনশোটি কলেজ নিয়ম মেনেছে। নিয়ম মানা হয়েছে সরকারি বিএড কলেজগুলিতেও। বাকিরা মানেনি। এর পরেই এই বাকি ২৫৩টি কলেজের অনুমোদন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএড বিশ্ববিদ্যালয়।
তবে আপাতত এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অনুমোদন না পেলেও এনসিটিই নিয়ম মেনে ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাত যথাযথ ভাবে বজায় রেখে আবার আবেদন করলে তারা অনুমোদন পেতে পারে। তবে এই অনুমোদন যদি যথাসময়ে পাওয়া না যায়, তবে যে ছাত্রছাত্রীরা শেষ বছরের সেমেস্টার দিয়ে বেরোবেন তারা সরকার অনুমোদিত কলেজের শংসাপত্র পাবেন কি না অনিশ্চয়তা দেখা গিয়েছে তা নিয়েও।
শিক্ষকতা শিক্ষায় বেসরকারি বিএড কলেজগুলিতে অনুমোদন বাতিল: প্রভাব ও সম্ভাব্য সমাধান
গত ১০ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখে রাজ্যের বিএড বিশ্ববিদ্যালয় ২৫৩টি বেসরকারি বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল করে। এই কলেজগুলিতে ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাত নির্ধারিত মান বজায় রাখেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যের শিক্ষকতা শিক্ষায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
প্রভাব
- শিক্ষক প্রশিক্ষণ: রাজ্যে শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য সরকারি কলেজের সংখ্যা খুব কম। মাত্র ২৪টি সরকারি কলেজে বিএড কোর্স চালু আছে। এই ২৫৩টি বেসরকারি কলেজের অনুমোদন বাতিলের ফলে রাজ্যে শিক্ষক প্রশিক্ষণের সুযোগ অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।
- শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ: এই ২৫৩টি কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। এই কলেজগুলির অনুমোদন বাতিলের ফলে তারা সরকার অনুমোদিত কলেজের ডিগ্রি পাবেন কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
- শিক্ষকদের মান: বেসরকারি বিএড কলেজগুলিতে অনুমোদন বাতিলের ফলে শিক্ষকদের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এসব কলেজে ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাত নির্ধারিত মান বজায় না থাকার ফলে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ পর্যাপ্ত নাও হতে পারে।
সম্ভাব্য সমাধান (BEd College affiliation canceled)
- অনুমোদন পুনর্নবীকরণ: বেসরকারি বিএড কলেজগুলি যদি এনসিটিই নিয়ম মেনে ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাত যথাযথ ভাবে বজায় রাখতে পারে, তাহলে তারা আবার অনুমোদন পেতে পারে।
- নতুন কলেজের অনুমোদন: রাজ্যে শিক্ষক প্রশিক্ষণের সুযোগ বাড়াতে নতুন সরকারি বা বেসরকারি কলেজের অনুমোদন দেওয়া যেতে পারে।
- অন্যান্য বিকল্প: রাজ্য সরকার চাইলে শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য অন্যান্য বিকল্প ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে পারে। যেমন, অনলাইন শিক্ষক প্রশিক্ষণ বা শিক্ষকদের জন্য সার্টিফিকেট কোর্স চালু করা যেতে পারে।
[…] […]