HomeBangla Newsত্রিপুরায় ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়: স্বাধীন ট্রাস্টের নতুন উদ্যোগ

ত্রিপুরায় ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়: স্বাধীন ট্রাস্টের নতুন উদ্যোগ

Digital University in Tripura: ত্রিপুরার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করতে চলেছে স্বাধীন ট্রাস্ট। রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় রাজ্যে একটি অত্যাধুনিক ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে এই সংস্থা। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি শুধুমাত্র শিক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, স্বাস্থ্যসেবায়ও বিপ্লব ঘটাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই স্বাধীন ট্রাস্টের উদ্যোগে রানীর খামারে ‘ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ’ চালু হয়েছে। এই মেডিকেল কলেজে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা দেওয়া হবে এবং এটি উত্তর-পূর্বের স্বাস্থ্য খাতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

এই সব প্রকল্পের ফলে শুধু যে এলাকার মানুষদের স্বাস্থ্য পরিষেবা, শরীর চর্চা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রভুত উন্নতি ঘটবে তাই নয়, এখানে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। যে সমস্ত মানুষজন কাজের খোঁজে বা রোজগারের আশায় – বাড়ি থেকে বহু দূরে থাকতে বাধ্য হন, তারা এখানে ফিরে এসে নিজেদের যোগ্যতা অনুসারে কাজ করবেন এবং আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হবেন। যার ফলে রাজ্যের মানব সম্পদ এবং অর্থনীতির বিকাশ ঘটবে বলেই বিশ্বাস।

ইতিমধ্যেই তাদের পক্ষ থেকে মহিলাদের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী করতে এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে মহিলাদের স্বশক্তিকরণের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সেই উদ্যোগকে আরও গতিশীল করতে সকল স্তরের মহিলাদের অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করতে, ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে মহিলা উদ্যোক্তা (Entrepreneur) গঠনের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার ফেসিলিটেটর (সাহায্যকারী) হিসাবে কাজ করবে এই মেডিকেল কলেজ। জানা গেছে যে, সম্প্রতি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ মানিক সাহা নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য (Digital University in Tripura):

  • শিক্ষার উন্নয়ন: এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা অনলাইন শিক্ষা, গবেষণা এবং অন-জব ট্রেনিংয়ের সুযোগ পাবে।
  • স্বাস্থ্যসেবায় বিপ্লব: টেলিমেডিসিন, টেলি-প্যাথলজি, টেলি-রেডিওলজি ইত্যাদি প্রযুক্তির মাধ্যমে দূরবর্তী এলাকায়ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া।
  • মহিলা স্বশক্তিকরণ: মহিলাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা।
  • কর্মসংস্থান সৃষ্টি: এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে রাজ্যে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

রাজ্য সরকারের সহযোগিতা:

ত্রিপুরা সরকার এই প্রকল্পগুলির পুরোপুরি সমর্থন দিচ্ছে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতায় এই প্রকল্পগুলি আরও দ্রুত বাস্তবায়িত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

স্বাধীন ট্রাস্টের সভাপতি ডঃ মলয় পীট জানিয়েছেন, “আমরা আশা করছি ২০২৭ সালের মধ্যে এই ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শেষ হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্বের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular