সরকারি কর্মচারীদের (Government Employees) উদ্দেশে রাজ্য সরকারের ২ টি বিজ্ঞপ্তি নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক। সরকারের বিজ্ঞপ্তি হাস্যকর বলে মন্তব্য সরকারি কর্মচারীদের। নির্দেশিকার প্রেক্ষিতে কোমর বেঁধে প্রতিবাদে নামতে চলেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
এমনিতেই বকেয়া ডিএ-র দাবিতে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে শনিবার জারি করা নবান্নের (Nabanna) দুটি বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যার প্রথমটিতে বলা হয়েছে, পেন ডাউন কর্মসূচিতে সোমবার সামিল হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর অপর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এখন থেকে টিফিন টাইমে অফিসের বাইরে গিয়ে অন্য কোনও কাজ করতে পারবেন না সরকারি কর্মীরা।
যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দাবি, তাঁরা কোনও পেন ডাউন কর্মসূচির ঘোষণাই করেননি সোমবার। তাহলে প্রশ্ন উঠছে, যে কর্মসূচি ঘোষণাই হয়নি, তার প্রেক্ষিতে কী করে বিজ্ঞপ্তি জারি হল ? অন্যদিকে, টিফিন টাইমে অন্য কোনও কাজে অংশ না নেওয়ার, বিজ্ঞপ্তিকে হাস্যকর বলে দাবি করেছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা সৌমেন্দ্রনারায়ণ বসু বলেছেন, ‘হাস্যকর। অশনি সঙ্কেত। একমাত্র জরুরি অবস্থায় এরকম হয়। বেসরকারি সংস্থার মালিকদের সঙ্গে জোটবন্ধ হয়ে সরকার এই পথ দেখাচ্ছে’।
এই দুটি বিজ্ঞপ্তি প্রথমটিতে বলা হয়েছে পেন ডাউন কর্মসূচিতে সোমবার সামিল হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তার বিরুদ্ধে। অপর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এবার থেকে টিফিন টাইমে অফিসের বাইরে গিয়ে অন্য কোন কাজ করতে পারবেন না সরকারি কর্মচারীরা। এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ দাবি করছে,
সোমবার তারা কোনরকম পেন ডাউন কর্মসূচির ঘোষণা করেনি। তাহলে প্রশ্ন উঠছে, যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়নি সেই কর্মসূচির বিরুদ্ধে বিজ্ঞপ্তি কি করে জারি হল? অন্যদিকে টিফিন টাইমে অন্য কোন কাজে অংশ না নেবার বিজ্ঞপ্তিকে হাস্যকর বলে দাবি করেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা সৌমেন্দ্র নারায়ন বসু বলছেন, “হাস্যকর। একমাত্র জরুরি অবস্থায় এরকম হয়। সরকার বেসরকারি সংস্থার মালিকদের সঙ্গে জোট বদ্ধ হয়ে এই পথ দেখাচ্ছে।”