Lakshmir Bhandar 2023:রাজ্য সরকারের অন্যতম জনদরদী প্রকল্প নিঃসন্দেহে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই রাজ্যে ইতিমধ্যেই তুমুল জনপ্রিয় হয়েছে এই প্রকল্প। নির্দিষ্ট কিছু শর্তে প্রত্যেক মহিলা এই প্রকল্পের অধীনে পাচ্ছেন মাথা পিছু ৫০০ টাকা। এই প্রকল্পের উল্লেখ করেই এবার বড় ঘোষণা কংগ্রেস নেতার। আর ৫০০ নয়, প্রতি মহিলাকে দেওয়া হবে ২ হাজার টাকা। আশ্বাস কংগ্রেস নেতার।
রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা চার গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানান কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাত (Lakshmir Bhandar 2023)। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় দলীয় অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি। নেতার প্রতিশ্রুতিকে ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা।
এদিকে ইতিমধ্যেই কর্নাটকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের উদ্যোগে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের’ আদলে চালু হয়েছে ‘গৃহলক্ষ্মী’ যোজনা। কর্নাটকে সিদ্দারামাইয়ের নেতৃত্বাধীন নয়া মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই ভোটের আগে দেওয়া কংগ্রেসের পাঁচ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
আর প্রথমেই পশ্চিমবঙ্গের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ এর আদলে ‘গৃহলক্ষ্মী যোজনা’ চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি চার প্রতিশ্রুতিও আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। এরইমধ্যে রাজ্যের কংগ্রেস নেতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে নয়া প্রতিশ্রুতি জল্পনা বাড়িয়েছে।
সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মোট পাঁচ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ওই পাঁচ প্রতিশ্রুতিতে বলা হয়েছিল, রাজ্যে দল সরকার গঠন করলে প্রত্যেক পরিবারকে ‘গৃহজ্যোতি’ যোজনায় বিনামূল্যে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। ‘গৃহলক্ষ্মী’ যোজনায় প্রত্যেক মহিলাকে মাসে ২,০০০ টাকা ভাতা দেওয়া হবে। ‘অন্নভাগ্য’ যোজনায় দারিদ্র্য সীমার নিচে থাকা পরিবারকে প্রতি মাসে ১০ কিলোগ্রাম খাদ্যশস্য দেওয়া হবে।
মহিলাদের বিনামূল্যে বাসে চড়ার সুযোগের পাশাপাশি বেকার যুবক-যুবতীদের মাসে তিন হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। ডিপ্লোমাধারীদের মাসে দেড় হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে। কংগ্রেসের ওই পাঁচ প্রতিশ্রুতি কন্নড়বাসীদের মনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। বিজেপির পক্ষ থেকে বার বার অভিযোগ করা হয়েছিল,
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ভাঁওতা দেওয়া হচ্ছে। যদিও পদ্ম শিবিরের ওই বক্তব্যকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছেন কন্নড়বাসী। বরং কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতির ওপরে ভরসা রেখেছেন। শনিবার দুপুরেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিল সিদ্দারামাইয়া। আর শপথগ্রহণের পরেই বৈঠকে বসেছিল নতুন মন্ত্রিসভা। ওই মন্ত্রিসভার বৈঠকের দিকে তাকিয়ে ছিল কন্নড়বাসী।