PAN Aadhaar Link Benefits: প্যান কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বর লিঙ্ক করার শেষ সময়সীমা ছিল গত ৩১ মার্চ। কিন্তু দেশের কয়েক কোটি মানুষ তখনও এই লিঙ্ক করে না ওঠায় আরও তিন মাসের সময়সীমা বৃদ্ধি করে আয়কর বিভাগ। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত প্যান-আধার লিঙ্কের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
কিন্তু এবার সময় বাড়বে না বলে সরকার পরিষ্কারভাবে ঘোষণা করেছে। তাই আপনাকে মাত্র ১৭ দিনের মধ্যে প্যান কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বর লিঙ্ক করতে হবে এবং এর জন্য ১০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। না হলে বিপর্যয় অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।
প্যান কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বর লিঙ্ক যারা ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন তাঁদের কোনও চিন্তা নেই। কিন্তু যাদের এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি বাকি আছে তাদের ৩০ জুনের মধ্যে সারতেই হবে। না হলে জুলাই মাসের প্রথমেই সবার আগে আপনার প্যান কার্ড বাতিল হয়ে যাবে।
আপনি যদি ভেবে থাকেন প্যান কার্ড বাতিল হওয়া ছাড়া আর কোনও বিপদ হবে না তবে খুব ভুল ভাবছেন। কারণ বর্তমান নিয়মে প্যান কার্ড বাতিল হয়ে যাওয়া মানে অর্থনৈতিক লেনদেনের দিক থেকে কার্যত আপনি ভেঙে পড়বেন।
প্রায় যা কিছুই করতে যাবেন দেখবেন প্যান কার্ড নেই বলে পারছেন না। প্যান কার্ড বাতিল হলে অর্থনৈতিক লেনদেনে সমস্যা হতে পারে। আপনি নিজের জমানো টাকা ব্যবহার করতে পারবেন না এবং বেতনও অফিস থেকে পাওয়া যাবে না। প্যান কার্ড বাতিল হওয়ার ফলে ব্যাংক ও সরকার সম্পূর্ণভাবে আপনার প্রতিষ্ঠান চালানোর ক্ষমতা হারাবে (PAN Aadhaar Link Benefits)।
Read More : How to make payment of Aadhaar Pan link fee on e-Filing or Protean (NSDL) Portal
প্যান-অধার লিঙ্ক না হলে এই সুবিধাগুলি আর মিলবে না
- প্যান কার্ড বাতিল হয়ে যাওয়ায় কোনরকম সঞ্চয় বা বিনিয়োগ করতে পারবেন না। সমস্ত সরকারি প্রকল্পের টাকা আটকে যাবে। ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট করতে হলেও তা ৫০,০০০ টাকার বেশি করতে পারবেন না।
- ভারতের কোনও ব্যাঙ্কেই নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না, কারণ আপনার কাছে বৈধ প্যান কার্ড থাকবে না
- প্যান-আধার লিঙ্ক না থাকলে মিউচুয়াল ফান্ডে কোনরকম বিনিয়োগ করা যাবে না। শেয়ার বাজারেও বিনিয়োগ আটকে যাবে।
- ব্যাঙ্কের পাসবুক আপডেট করা, ব্যালেন্স চেক করার ক্ষেত্রেও অসুবিধেয় পড়তে হবে।
- ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট থাকলে সেটি সাময়িকভাবে ফ্রিজ হয়ে যাবে, চাইলেও সেই টাকা তুলতে পারবেন না।
- নিজের নামে কোনও ট্রাস্ট বা এনজিও রেজিস্টার করতে পারবেন না। কোনও নথিবদ্ধ সংস্থার বোর্ডে থাকলে রিনিউয়ের সময় আপনার নাম কাটা পড়বে।
- সম্পত্তি কেনা-বেচা আটকে যেতে পারে।
- ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না।
- মাসের শেষে বেতন বা পেনশনের অর্থ পেতে সমস্যা হতে পারে।
- এই লিঙ্ক প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ না হলে আপনার বৈধ প্যান কার্ড থাকবে না।
- যেকোনও ধরনের বিমার প্রিমিয়াম জমা দেওয়া বা ক্লেম করে তার অর্থ পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে।
- যেকোনও ধরনের লোন পাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।
- পুরনো গাড়ি বিক্রি করতে গেলেও সমস্যার মুখে পড়তে হবে।
- প্যান কার্ড না থাকায় নতুন ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
- ব্যাঙ্কের ড্রাফট এবং চেক সংক্রান্ত যে কোনও কাজে অসুবিধে হবে। আপনার চেক ক্লিয়ারেন্স বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
- ৫০ হাজার টাকার বেশি পেমেন্ট দিতে বা নিতে পারবেন না। কারণ এই অর্থের বেশি লেনদেনের ক্ষেত্রে বৈধ প্যান কার্ড থাকাটা বাধ্যতামূলক।
- ব্যাঙ্কে সম্পত্তি মর্টগেজ রেখেও আর লোন পাবেন না।
- প্যান-আধার লিঙ্ক না হলে ব্যাঙ্ক সহ সমস্ত আর্থিক সংস্থার কেওয়াইসি প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ হবে না। ফলে সেখানেও আপনার অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হবে।
- কোনও অনলাইন পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমেও আর টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন না।
- পেমেন্ট করার ক্ষেত্রে অনলাইন জালিয়াতি হলে বা কোনও লেনদেন অসফল হলে টাকা ফেরত পাওয়ার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা থাকবে না। কারণ আপনার বৈধ প্যান কার্ড না থাকায় প্রদেয় অর্থের পেমেন্ট প্রসেস ট্র্যাক করা সম্ভব হবে না।
- প্যান নম্বর বাতিল হলে বার্ধক্য ভাতা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, আবাস যোজনার মত সামাজিক প্রকল্পের অর্থ পাওয়াও বন্ধ হয়ে যাবে।
সব মিলিয়ে বুঝতেই পারছেন আর ১৮ দিনের মধ্যে প্যান-আধার লিঙ্ক প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না করলে চূড়ান্ত দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে। তবে এই লিঙ্ক প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ফেললে আর কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না।
Read More : DCPU Recruitment 2023 | রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরে বিভিন্ন পদে কর্মী নিয়োগ
PAN Aadhaar Link Benefits কিছু সুবিধা রয়েছে:
- আধার ও প্যান লিঙ্ক করা অর্থ বিভাগটি সমস্ত লেনদেনের একটি অডিট ট্রেল প্রদান করে, আধার কার্ডটি সমস্ত লেনদেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
- আপনার আধার-প্যান লিঙ্ক না হওয়া পর্যন্ত আইটিআর ফাইলিং করা যাবে না।
- একবার লিঙ্ক হলে, আইটিআর ফাইলিং সহজ হবে কারণ রসিদ জমা দেওয়ার বা ই-স্বাক্ষরের প্রয়োজনীয়তা দূর হয়ে যাবে।
- আধার কার্ডের ব্যবহার অন্যান্য নথির প্রয়োজনীয়তা অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে।
- আধার কার্ড পরিচয় প্রমাণ এবং ঠিকানা প্রমাণের উদ্দেশ্যে ব্যবহার হয়।
- লিঙ্ক করার পরে লেনদেনগুলি ট্র্যাক করা যেতে পারে, যা জালিয়াতি রোধ করতে এবং কর ফাঁকি রোধ করতে সহায়তা করে।