PMAY New Update: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কড়া কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রকল্পে জমিহারা উপভোক্তাদের জন্য জমির ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যগুলিকে। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে জমির ব্যবস্থা করে দিতে না পারলে সেই রাজ্যকে জরিমানা করা হবে।
জরিমানা হিসেবে সেই রাজ্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বরাদ্দ টাকা অন্য রাজ্যকে দিয়ে দেওয়া হবে। শাস্তি বা জরিমানা হিসেবে আবাস যোজনা প্রকল্পে টাকা দেওয়া হবে না রাজ্যকে।
PMAY New Update : প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বড় সিদ্ধান্ত,
২০২২ সালের মধ্যে দেশের ২ কোটি ৯৫ লক্ষ পরিবারের মাথায় পাকা ছাদের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মোদি সরকার। যদিও মাঝে করোনার কারণে প্রকল্পের কাজ কিছুটা থমকে যায়। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২২ এর নভেম্বর পর্যন্ত দেশের মোট ২ কোটি ৬ লক্ষ পরিবার এই প্রকল্পে পাকা ছাদ পেয়েছে। তবে বর্তমানে আড়াই লক্ষ পরিবারের বাড়িতে পাকা ছাদ তৈরি করা কেন্দ্রীয় সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Read More : Hindustan Petroleum নিয়োগ 2022 | এখনই আবেদন করুন BE/B.Tech/B.Sc (Engg.)
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে,
আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ধরে এই প্রকল্পের সুবিধা প্রাপকদের তালিকা তৈরি করতে হবে। যাঁরা এই সুবিধা পাওয়ার জন্য মনোনীত হননি, তাঁদের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। প্রাপকদের তালিকায় কারা সংখ্যালঘু রয়েছে, তা চিহ্নিত করতে হবে। ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রামসভা ডেকে তালিকা অনুমোদন করাতে হবে। গ্রামসভায় কোনও নাম বাতিল করে নতুন নাম অর্ন্তভুক্তি করতে চাইলে, তা দ্রুত করে ফেলতে হবে। তারপরই রেজিস্ট্রেশন করে জিও ট্যাগিং করতে হবে।
আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্য এই কাজ শেষ করতে চাইছে।
কেন্দ্রীয় সরকার ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে। প্রতিটি বাড়ির নির্মাণ খরচ এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এছাড়া একশো দিনের কাজের প্রকল্প থেকে বাড়ি নির্মাণ খরচ বাবদ কিছু টাকা মেটানো হবে। কিন্তু কেন্দ্র এখনও একশো দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্প অনুমোদনই করেনি। কী করে নির্মাণ খরচ পাবেন প্রকল্পের সুবিধা প্রাপকরা? নবান্ন অবশ্য এ নিয়ে এখনই বিতর্ক শুরু করতে নারাজ। বরং কাজটা সময় ধরে কী করে এগিয়ে নেওয়া যায় তা নিয়েই পরিকল্পনা করছে।