Senior Citizen Savings Scheme | কোনওরকম ঝুঁকি নেই। বাড়িতে বসেই বছরে ২.২ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। প্রবীণ নাগরিকদের জন্য দারুণ স্কিম আছে পোস্ট অফিসে। সুদের হার ৭.৪ শতাংশ। তাতে আছে একাধিক সুযোগ-সুবিধাও।
ঝুঁকিহীন বিনিয়োগে বছরে ২.২২ লাখ আয় হবে। এমনই সুযোগ মিলছে সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে। যে স্কিমে বার্ষিক ৭.৪ শতাংশ হারে সুদ মেলে। যা খুচরো মুদ্রাস্ফীতির (সাত শতাংশ) হারের থেকে বেশি। শুধু তাই নয়, ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটের থেকেও বেশি হারে সুদ পাওয়ায় সেই পোস্ট অফিসের স্কিমের দিকে ঝুঁকছেন প্রবীণ নাগরিকরা।
সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম (Senior Citizen Savings Scheme) কী?
সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম হল পোস্ট অফিসের একটি ঝুঁকিহীন প্রকল্প। সেই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রবীণ নাগরিকরা নিশ্চিত রিটার্ন পাবেন। নিতে হবে না কোনওরকম ঝুঁকি। ১,০০০ টাকার গুণিতকে টাকা জমা করে ষাটোর্ধ্বরা সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা জমা দেওয়া যাবে। ফিক্সড ডিপোজিটের মতোই সেই প্রকল্পের (চলতি ত্রৈমাসিকে সুদের হার অপরিবর্তিত আছে) মেয়াদ পাঁচ বছর।
Read More : Duare Sarkar Camp Upadte | দুয়ারে সরকার ক্যাম্পেই করা যাবে চাকরির আবেদন!
ধরা যাক, সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের আওতায় পাঁচ বছরের জন্য কোনও প্রবীণ নাগরিক ১৫ লাখ টাকা রেখেছেন। সেক্ষেত্রে প্রতি ত্রৈমাসিকে সুদ বাবদ ২৭,৭৫০ টাকা পাবেন (বর্তমানে সুদের হার ৭.৪ শতাংশ)। যে অঙ্কটা বছরে দাঁড়াবে ১,১১,০০০ টাকা। সেভাবেই পাঁচ বছরে মোট ৫,৫৫,০০০ টাকা সুদ মিলবে। সার্বিকভাবে ম্যাচিওরিটির পর অঙ্কটা হবে ২০,৫৫,০০০ টাকা।
কীভাবে বছরে ২.২ লাখ টাকা পাওয়া যাবে?
সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের আওতায় জয়েন্ট অ্যাকাউন্টও খোলা যায়। সংশ্লিষ্ট প্রবীণ নাগরিক এবং তাঁর সঙ্গী বা সঙ্গিনীর নামে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ আছে। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগের সর্বোচ্চসীমা হল ৩০ লাখ। অর্থাৎ কেউ যদি পাঁচ বছরের জন্য ৩০ লাখ টাকা রাখেন, তাহলে বছরে সুদ-বাবদ জমবে ২,২২,০০০ টাকা (১,১১,০০০ টাকা*২)। পাঁচ বছর শেষে (ম্যাচিওরিটির পর) মোট অর্থের পরিমাণ ৪১,০০,০০০ টাকায় ঠেকবে।
সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের শর্ত
- যাঁর নাম প্রথমে থাকবে, তাঁর উপরই জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের যাবতীয় দায় থাকবে।
- ভারতীয় পোস্টের তরফে বলা হয়েছে, ‘(কোনও প্রবীণ নাগরিকের) সঙ্গী বা সঙ্গিনী যদি জয়েন্ট হোল্ডার হন বা একক নমিনি হন, তাহলে ম্যাচিওরিটির মেয়াদ পর্যন্ত (সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম) অ্যাকাউন্ট চালু রাখা হবে। সেক্ষেত্রে অবশ্য সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের আওতায় অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে যোগ্য হতে হবে এবং সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের আওতায় একটির বেশি অ্যাকাউন্ট রাখা যাবে না।’
কীভাবে সুদ প্রদান করা হয়?
সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের (Senior Citizen Savings Scheme) আওতায় প্রতি ত্রৈমাসিকে সুদ প্রদান করা হয়। ডিপোজিটের দিন সুদের হার যা থাকে, সেটাই পাঁচ বছরের জন্য চূড়ান্ত হয়ে যায়। এমনিতে প্রতি ত্রৈমাসিকে ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে সুদের হার পরিবর্তন করে থাকে কেন্দ্রীয় সরকার (অক্টোবর থেকে থেকেই যেমন নয়া সুদের হার কার্যকর হবে)।
করছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়?
১৯৬১ সালের আয়কর আইনের ৮০সি ধারার আওতায় করছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়। যদি সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের আওতায় কোনও অর্থবর্ষে সুদ-বাবদ আয়ের অঙ্ক ৫০,০০০ টাকা অতিক্রম করে যায়, তাহলে সেই সুদের উপর কর দিতে হবে এবং টিডিএস (ট্যাক্স ডিডাকটেড অ্যাট সোর্স) কাটা হবে। যদি ফর্ম ১৫জি/১৫এইচ (15G/15H) জমা দেওয়া হয় এবং সুদের অঙ্ক নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম না করে, তাহলে টিডিএস দিতে হবে না।
সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের মেয়াদ বাড়ানো হয়?
প্রাথমিকভাবে পাঁচ বছরের জন্য সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের আওতায় বিনিয়োগ করা হয়। তবে সেই মেয়াদ শেষেও অ্যাকাউন্ট খুলে রাখতে পারেন প্রবীণ নাগরিকরা। ম্যাচিওরিটির তারিখ থেকে তিন বছর পর্যন্ত সেই কাজটা করা যায়।