Utshashree Scheme New Update: স্কুল শিক্ষকদের বদলির জন্য গতবছরে থেকেই একটি বিশেষ উৎসশ্রী প্রকল্প চালু করে রাজ্য সরকার। এবার পুজোর ঠিক আগে এই প্রকল্পটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল সরকার। বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর স্কুলশিক্ষা দফতরের তরফে জারি করা হয় এই নির্দেশিকা।
Highlights Of West Bengal Utsashree Portal
Name of the scheme | West Bengal Utsashree Portal 2022 |
Launched by | Government of West Bengal |
Beneficiary | Citizens of West Bengal |
Objective | To make apply mode online for teachers’ transfer |
Official website | https://banglarshiksha.gov.in/utsashree/ |
Launched Year | 2022 |
State | West Bengal |
Mode of Application | Online |
নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী,
এই পোর্টালের মাধ্যমে আর বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন না স্কুল-শিক্ষকরা। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই পোর্টালের মাধ্যমে বদলির আবেদন করা যাবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ১৮৭ জন নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউতে ডাকা হচ্ছে। শিক্ষা দফতর সুত্রে খবর, এই সময় উৎসশ্রী প্রকল্প চালু থাকলে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে দেখা দেবে সমস্যা। তাই, আপাতত এই বদলির প্রকল্পটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এই নিয়োগের প্রক্রিয়া।

বিকাশ ভবনের পর্যবেক্ষণ,
শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলার প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত পদ তৈরি, নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে শূন্যপদ কত তার সঠিক তথ্য থাকা খুব জরুরি। স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে চালানো যায়, সে জন্যেই উৎসশ্রী’র মাধ্যমে বদলি প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হচ্ছে।
কারণ, স্কুলভিত্তিক শূন্যপদের জাতিগত সংরক্ষণের তালিকা তৈরি করতে গিয়ে অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (এসএসসি)। স্কুলে শিক্ষিক-শিক্ষিকাদের নিয়োগ ও বদলি এক সঙ্গে চলতে পারে না বলেই উপলব্ধি শিক্ষা-প্রশাসকদের।
Utshashree Scheme New Update
যে সকল শিক্ষকদের নিজেদের বাড়ি থেকে দূরের স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের বাড়ির কাছাকাছি বদলির বিষয়টি আরও সহজ করার জন্য গত বছের অগাস্ট মাসে এই পোর্টাল চালু করে স্কুল শিক্ষা দফতর। আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই দেখা যায়, ভুরিভুরি বদলির আবেদন জমা পড়ছে এই পোর্টালে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি স্কুল সার্ভিস কমিশন, মধ্যশিক্ষা ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মধ্যে হওয়া এক বৈঠকে ঠিক হয় যে সারা বছর ধরে আবেদন গ্রহণ করা হলেও, নির্দিষ্ট সময় মেনে বছরে দু’বার এই বদলির প্রক্রিয়াটি কার্জকর করা হবে। এর মাধ্যমেই শূন্যপদ ও সংরক্ষিত আসনের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখা হবে। সারা বছর ধরে বদলির প্রক্রিয়া চললে যা একেবারেই অসম্ভব।
তবে, ব্রিহস্পতিবারের এই নির্দেশিকার মাধ্যমে এবার বদলির আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়াটি অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করা হল। ফলে, অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছে এই পোর্টালটির ভবিষ্যৎ নিয়ে।