Mail & Express train: ভারতীয় রেলের সঙ্গে বহুদিনের সম্পর্ক। এই প্রতিষ্ঠানটি আমার পেটের ভাত জোগায়। তাই রেল বিষয়ক প্রশ্ন পেয়ে খুশি হলাম। খুব ভাল প্রশ্ন। আলোচনার সুবিধার্থে প্রথমে দুটি ট্রেনের কথা নমুনা হিসেবে ধরা যাক- ১২৩৪৩ দার্জিলিং মেল এবং ১২৩৭৭ পদাতিক এক্সপ্রেস।
Mail & Express train : মেল ট্রেন ও এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে কোথায় পার্থক্য?
দুটি ট্রেনই শিয়ালদহ থেকে ছাড়ে। নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত যেতে প্রথমটি সময় নেয় ১০ ঘন্টা ১০ মিনিট এবং দ্বিতীয়টির সময় লাগে ১০ ঘন্টা। দুটি ট্রেনেরই ভাড়া বাতানুকূল ১ম শ্রেণি ২,১৮০ টাকা, বাতানুকূল ২য় শ্রেণির ১,৩০০ টাকা, বাতানুকূল ৩য় শ্রেণি ৯২০ টাকা ও শয়নযান ৩৫০ টাকা। দুটি ট্রেনই বর্ধমান হয়ে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত একই পথ অনুসরণ করে। তাই যদি হবে, তাহলে একটি মেল আর অন্যটি এক্সপ্রেস কেন?
এই সেই কারণ
এক্সপ্রেস ও মেলে আজ আর পার্থক্য না থাকলেও এক সময়ে ছিল। তখন মেল গাড়ির বাকি কামরার সঙ্গে ডাক বাক্সের রঙের মতো একটি লাল রঙের কামরা যুক্ত থাকত। কামরার বাইরে লেখা থাকত আর এম এস বা রেলওয়ে মেল সার্ভিস।
ভারতীয় ডাক বিভাগের সঙ্গে ভারতীয় রেলওয়ের যৌথ সহযোগিতায় চিঠিপত্রের আদান-প্রদান চলত এই কামরার মাধ্যমে। তখন যে ট্রেনের সঙ্গে এই কামরা যুক্ত থাকত তারা একটু কুলিন পর্যায়ের ছিল। তবে সেই কৌলিন্যের দিন এখন আর নেই। এখন এক্সপ্রেস ও মেলে কোনও তফাৎ নেই।
Read More : Primary TET Interview Pattern | প্রাইমারি টেট ইন্টারভিউ প্রশ্ন
আবার এখন এমনও এক্সপ্রেস ট্রেন আছে যাতে আর এম এস কামরা আছে। যেমন, মুম্বাই থেকে পোরবন্দর যাওয়ার সৌরাষ্ট্র এক্সপ্রেস। মোটামুটি ভাবে গত শতকের ৭০ দশকের পর থেকে মেল ট্রেনের সঙ্গে বিশেষ ভাবে আর এম এস কামরা যুক্ত হওয়ার বিষয়টি উঠে যেতে শুরু করে এবং প্রয়োজনের নিরিখে এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গেও আর এম এস যুক্ত হতে থাকে। তাই আজকের দিনে এই দুই ট্রেনে কোনও তফাৎই নেই।
আরও কয়েকটি মেল ট্রেনের নাম
- কালকা মেল, চেন্নাই মেল, পাঞ্জাব মেল, ফ্রন্টিয়ার মেল ইত্যাদি।
Read More : Krishak Bandhu Scheme Update : রবি শস্যের জন্য কৃষকদের আড়াই কোটি টাকা, বড় ঘোষণা মমতার