Lakshmir Bhandar New Update : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় ৭০টির ওপর প্রকল্প চালু করেছেন এই রাজ্যের মানুষের আর্থিক উন্নতির কথা চিন্তা করেই। দেখা গেছে এই জনমুখি প্রকল্পগুলির কাজ গত কয়েকবছর ধরেই চলছে। এই প্রকল্পগুলি মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন গোটা রাজ্যের মানুষ।
সরকারি সূত্রে খবর,
রাজ্যের মহিলারা প্রত্যেক মাসে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত মাসিক ভাতা পান এই প্রকল্পের (Lakshmi Bhandar Prakalpa – Lakshmir Bhandar) অধীনে। মাসে ১০০০ টাকা পেয়ে থাকেন তপশিলি জাতী-উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারা এবং ৫০০ টাকা পেয়ে থাকেন সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা।
কিন্তু বর্তমানে এই আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির বাজারে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকায় কিছু হয় না। এই কথা মাথায় রেখেই সরকার এই প্রকল্পে টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্য এই বিষয়ে পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নেবে।
Read More : What is TRP? টি.আর.পি কি এবং কীভাবে টিআরপি গণনা হয় ?
এখন থেকে এই প্রকল্পে (Lakshmir Bhandar Prakalpa) তপশিলি জাতী-উপজাতির মহিলারা মাসে পাবেন ১২৫০ টাকা পাবেন এবং সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা পাবেন ৭৫০ টাকা। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শীলমোহর আর অর্থ দপ্তরের অনুমোদনের অপেক্ষা। সরকারি সূত্রে খবর, রাজ্যের সমস্ত জেলায় সরকারি বিজ্ঞপ্তি পৌঁছলেই রাজ্যের মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের অধীনে বাড়তি ২৫০ টাকা পাবেন।
দুর্নীতি যেনো তাও সরকারের পিছু ছাড়ছে না।
জনমুখি প্রকল্প তথা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakhsmi Bhandar) ক্ষেত্রেও দুর্নীতির গন্ধ উড়েছে রাজ্যে। বর্তমান রিপোর্ট বলছে, রাজ্য সরকার দ্বারা পরিচালিত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পেও চলছে লাগামছাড়া দুর্নীতি। তবে এই মধ্যেই এই দুর্নীতি আটকাতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার।
সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে,
যে সমস্ত মহিলা বয়স বাড়িয়ে জাল সংশাপত্র দেখিয়ে এবং সরকারের পক্ষ থেকে অন্যান্য আর্থিক সুবিধা পাওয়া সত্বেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছেন বিশেষত তারাই এবার গ্যাড়াকলে পড়তে চলেছে। সরকার কর্তৃক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওই মহিলারা যদি যথাযথ নথিপত্র জমা করতে না পারেন তাহলে ওই মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের অধীনে আর টাকা পাবেন না।